সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবী (হার্ড কভার) | Tara Hura Life
01844000229

Support 24/7

0 Your Cart TK.0
Shopping Cart (0)
Sub Total: TK.0

সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবী (হার্ড কভার)

TK.110
Hotline Order:

Sat - Thu: 07AM - 06PM

(+88) 01844000229

publisher

মাকতাবাতুল ইসলাম

৫৮৩ হিজরির ২৭ই রজব (২ অক্টোবর, ১১৮৭ খ্রিস্টাব্দ) সম্মিলিত ক্রুসেড বাহিনীকে পরাজিত করে বাইতুল মুকাদ্দাসে বিজয়ীর বেশে প্রবেশ করেন মুসলিম জাতির মহান বীর সুলতান সালাহউদ্দীন আইয়ুবী। যে রজব মাসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাইতুল মুকাদ্দাস থেকে মিরাজে গিয়েছিলেন, আল্লাহপাকের অপার মহিমায় সে রজব মাসেই মুসলমানরা বাইতুল মুকাদ্দাসে প্রবেশ করার সৌভাগ্য অর্জন করেন। মুসলিম বাহিনী শহরে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে মুসলমানদের মাঝে এক অভাবনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ দিনের বন্দিত্ব আর সীমাহীন অত্যাচার থেকে মুক্তি পেয়ে আনন্দ বেদনার এক বিচিত্র অনুভূতিতে ভরে ওঠে তাদের হৃদয়। অপর দিকে জেরুজালেম শহরের খ্রিস্টান অধিবাসীদের মনের অবস্থা ছিল ভয়াবহ। তারা ভেবেছিল ৮৮ বছর ধরে মুসলমানদের উপর যে ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হয়েছে, মুসলিম বাহিনী তার প্রতিশোধ নেয়া শুরু করবে। কিন্তু না দৃশ্যপট ভিন্ন হয়। কিন্তু সুলতান সালাহউদ্দিন ইসলামের বৈশিষ্ট্যমন্ডিত উত্তম চারিত্রিক গুণাবলি, মহৎ স্বভাব, চিত্তের বিশালতা ও মনের উদারতার যে-পরিচয় পেশ করেন তার বিবরণ আমরা পাই খ্রিস্টান প্রাচ্যবিদ ও ঐতিহাসিক স্ট্যানলি লেন পুলের লেখায় : “খ্রিস্টানদের ঐতিহাসিক পরাজয় ও আত্মসমর্পণের দিন সালাহউদ্দিন নিজেকে যে-উদারচিত্ত ও মহানুভবরূপে উপস্থিত করেছিলেন সেটা ইতোপূর্বে কখনো করেন নি। দায়িত্বশীল আমিরদের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁর সৈন্যরা প্রতিটি সড়কে দাঁড়িয়ে শৃঙ্খলা বজায় রেখেছিলো : পরাজিতদের প্রতি সহিংস হতে ও অপদস্থ করতে লোকদের বারণ করেছিলো, এমনকি খ্রিস্টানদের প্রতি সামান্যতম দুর্ব্যবহার করা হয়েছে বলে শোনা যায় নি।” এভাবেই খ্রিস্টান ঐতিহাসিকেরা তাদের লিখিত গ্রন্থে সুলতান সালাহউদ্দিনের এমন মহানুভবতা ও উদারতার প্রশংসা করেন। এই মহানুভবতা থেকে যেমন বঞ্ছিত হয়নি খ্রিস্টান সম্রাট, তেমনি বঞ্ছিত হয়নি কোনো সাধারণ সৈনিক, খ্রিস্টান জনসাধারণ, নারী, শিশু কিংবা তরতাজা যুবক। সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবীকর্তৃক বাইতুল মুকাদ্দাস নিয়ন্ত্রণে নেবার প্রায় ৮০০ বছর পর এবং ইসলামী খিলাফাহ ধ্বংসের ৪৩ বছর পর মুসলমানরা প্রত্যক্ষ করে এক বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক ঘটনা। মুসলিম বিশ্বের পারস্পরিক অনৈক্য ও দুর্বলতার ফলে পবিত্র বাইতুল মুকাদ্দাস আর মসজিদুল আকসা আবার চলে যায় বিধর্মীদের হতে। খ্রিস্টানদের মদদে সেখানে কর্তৃত্ব বিস্তার করলো অভিশপ্ত ইহুদী জাতি। ৮০০ বছর আগের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটল সেই পবিত্র ভূমিতে। মুসলমানদের রক্তে নতুন করে ভিজতে শুরু করে ফিলিস্তিনের মাটি। যা এখনো অব্যাহত আছে। আজ শুধু ফিলিস্তিন নয়, পৃথিবীর সকল প্রান্তের মুসলমানের আত্মা ক্রন্দন করছে একজন সালাহউদ্দীন আইয়ুবীর জন্য। বিখ্যাত মনীষী সাইয়িদ আবুল হাসান আলী নদবীকর্তৃক রচিত মহাবীর সুলতান সালাহউদ্দীন আইয়ুবীর বিশাল কর্মময় জীবনের স্বর্ণবিন্দুগুলো নিয়ে রচিত এ গ্রন্থটি পাঠকের সমাদর লাভ করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

Related products