মহাকাল
লেখক : দিবাকর দাস
প্রকাশনী : চিরকুট
পৃষ্ঠা সংখ্যা :
কভার :
আইএসবিএন :
ভাষা :
দেশ :
- Tk 480.00
-
Regular price
Tk 800.00 -
-40%
- Will not ship until
Couldn't load pickup availability
আমাদের বই ডেলিভারির সময় -
- ঢাকার ভিতরে : ২ থেকে ৩ দিন।
- ঢাকার বাহিরে : ২ থেকে ৫ দিন।
আমাদের ডেলিভারি চার্জ -
- ঢাকার ভিতর: ৫০ টাকা।
- ঢাকার বাহিরে : ৮০ টাকা।
আমরা পাঠাও এর মাধ্যমে সারাদেশে গ্রন্থ পাঠিয়ে থাকি।

মহাকাল
কাহিনি সংক্ষেপ মহারাজ সাতকর্ণী সাতবাহন রাজ্যের সম্রাট। লোকে বলে,তিনিই এই বংশের সবচেয়ে যোগ্য রাজা। রাজ্য চারিদিকে বেড়ে এখন পুরো মধ্য ভারতই তার আয়ত্তে এসে গেছে। কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে অন্য জায়গায়। পুবের পৃথিবী থেকে লোকজন আসছে ভারতে বাণিজ্য করতে। তিনিও সেই বাণিজ্যে অংশ নিয়েছেন। কিন্তু তার বন্দরগুলোতে ভিনদেশী জাহাজগুলো আসছে না। খা খা করছে তার বন্দরগুলো। এই সমস্যার সমাধান করতেই হবে। লক্ষ্মী বিদায় নিলে রাজা আর রাজ্য যে শ্রী হারিয়ে ফেলবে। নিজের মন্ত্রীর সাথে সেই পরিকল্পনাই করতে বসেছেন তিনি। ঠিক সেই সময়ে যে রাজা ভারতে চুটিয়ে বাণিজ্য করছেন,তার নাম নাহাপনা। পশ্চিম শক রাজ্যের এই রাজা নিজের বাণিজ্য নিয়ে সন্তুষ্ট। তবে নিশ্চিন্ত থাকার উপায় নেই। তিনি জানেন,মধ্য ভারত অধিকার করে সাতবাহন রাজ্যের সীমা এখন তার রাজ্যের উপকণ্ঠে চলে এসেছে। আর তার এই ছোট কিন্তু অতুল সমৃদ্ধ রাজ্য অবশ্যই সাতকর্ণীর শকুন নজর এড়াবে না। তাই শত্রু আঘাত করার আগেই শত্রুকে পাকে ফেলতে হবে। নিজের মন্ত্রীর সাথে তিনিও ব্যস্ত সেই উপায় নির্ধারণে। দক্ষিণ ভারত তিন রাজ্যে বিভক্ত। চেরা,চোলা আর পাণ্ড্য। তিন রাজ্যই একে অপরের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে আসছে প্রাচীন কাল থেকে। তবে এখন চেরা রাজ্যের অবস্থা ভালো। তার বন্দর মুঝিরিস ব্যবসায় অনেক ভালো করছে। তারও ভয় মহারাজ সাতকর্ণীকে। চোলা রাজ্যে এসেছেন নতুন রাজা। তাকেও থাকতে হচ্ছে ভেতরের আর বাইরের শত্রুর ভয়ে। পাণ্ড্য রাজা বাণিজ্যিক চুক্তি করেছেন চেরাদের সাথে,তবে তিনিও চাচ্ছেন না অন্য কারো দয়ায় বেঁচে থাকতে। এসব রাজরাজড়ার ঝামেলায় অসিতের কোন সম্পর্ক নেই। সে এক সাধারণ কিশোর। নিজের খেলা দেখানোর বানর আর গ্রামের অন্য মানুষদের কখনো আদর আর কখনো শাসনে কেটে যাচ্ছে তার জীবন। বনের ধারে একটা কেবল কুটির,আর কিছু খেলা দেখানোর সামগ্রী,এই তার সম্বল। তারপর আচমকা একদিন নতুন এক সম্পত্তি হাতে চলে এলো তার। নতুন সম্পত্তির সাথে এলো নতুন সম্ভাবনা,আর সেই সাথে এলো নতুন বিপদও। জীবন বদলে গেলো তার। এক অভিশপ্ত পুরুষ রাতের অন্ধকারে ঘুরে বেড়াচ্ছে নানা মন্দিরে। দিনে কখনোই সে ঘর থেকে বের হয় না। নিত্য প্রার্থনা করে চলেছে সে,কিন্তু কিছুতেই নিজের শাপের হাত থেকে মুক্ত হতে পারছে না। তবু চেষ্টা করে চলেছে,মহাকাল কি তাকে দয়া করবে? তার শাস্তির মেয়াদ কি শেষ হবে? বিন্দুমাত্র সম্পর্কহীন বিন্দুগুলো এক সময় এসে মিলে গেলো এক বিন্দুতে। মহাকাল দেখাতে শুরু করলো নিজের খেলা।