Cart
0
মার্কিন ডকুমেন্টে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ৭১
লেখক : পিনাকী ভট্টাচার্য
প্রকাশনী : সূচীপত্র
পৃষ্ঠা সংখ্যা : 96
কভার : হার্ডকভার
আইএসবিএন :
ভাষা :
দেশ :
- Tk 224.00
-
Regular price
Tk 270.00 -
-17%
- Will not ship until
Couldn't load pickup availability
আপনারা সাধারণত কত দিনের মধ্যে বই পাঠিয়ে থাকেন?
আমাদের বই ডেলিভারির সময় -
- ঢাকার ভিতরে : ২ থেকে ৩ দিন।
- ঢাকার বাহিরে : ২ থেকে ৫ দিন।
আপনাদের ডেলিভারি চার্জ কত টাকা?
আমাদের ডেলিভারি চার্জ -
- ঢাকার ভিতর: ৫০ টাকা।
- ঢাকার বাহিরে : ৮০ টাকা।
আপনারা কোন কুরিয়ারে বই পাঠিয়ে থাকেন?
আমরা পাঠাও এর মাধ্যমে সারাদেশে গ্রন্থ পাঠিয়ে থাকি।
👀 বর্তমানে
জন কাস্টমার এই বইটি দেখছেন

মার্কিন ডকুমেন্টে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ৭১
Tk 224.00
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের একটা ডমিন্যান্ট বয়ান আছে আমাদের দেশে। এই বয়ান মূলত স্যেকুলারপন্থীদের তৈরি করা। সেখানে বলা হয়ে থাকে, আমেরিকা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিল, সোভিয়েত ইউনিয়ন ছিল পক্ষে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ঠেকানোর জন্য আমেরিকা সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল। এই বয়ান তৈরি করেছে ঠান্ডা যুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন। আর মূলত বাংলাদেশের রুশপন্থী বামেরা এই বয়ান প্রচার করেছে। কেউ তাদের এই হেজিমনিক বয়ানকে কখনো চ্যালেইঞ্জ করেনি। আমেরিকান ডকুমেন্টগুলো অনলাইনে রিলিজ হওয়ার পরে আমরা নিখঁতভাবে জানতে পারছি আমেরিকা আসলে কী চেয়েছিল, কেন চেয়েছিল।
বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যাচ্ছে, নিক্সন প্রশাসন এটা জানত। এটা নিয়ে নিক্সন প্রশাসনের কোনো সন্দেহ ছিল না, বহু আগে থেকেই। আর এটা এতই অনিবার্য ছিল যে, সেটাকে ঠেকানোর উদ্যোগ নেয়ার কোনো চেষ্টাও করেনি আমেরিকা। কিন্তু তাদের উদ্বেগের জায়গা ছিল ভিন্ন। সেটা হলো, পাকিস্তানের অংশে থাকা কাশ্মীর। যেন এই সুযোগে, ডিসেম্বরের যুদ্ধের শেষবেলায় ভারতীয় সব সৈন্য পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে গিয়ে পাকিস্তান থেকে কাশ্মীর ছিনিয়ে নিয়ে না যায়। সেটা ঠেকানোই ছিল আমেরিকানদের উদ্বেগের বিষয়।প্রপাগান্ডায় আমরা শুনেছিলাম, বাংলাদেশের স্বাধীন হওয়া ঠেকাতে নাকি আমেরিকা সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল। এইটাও ডাহা মিথ্যা কথা। খোদ নিক্সন প্রশাসন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে নানা ক্ষেত্রে সহায়তা দিয়েছিল।
আমেরিকা ঠিক সেই সময়ে পাকিস্তানের মাধ্যমে চীনের বাজারে বিনিয়োগের লক্ষ্যে কাজ করছিল। পাকিস্তান ছিল এই গড়েওঠা নতুন সম্পর্কের মধ্যস্থতাকারী। তাই আমেরিকার তরফ থেকে পাকিস্তানকে ডিল করার ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ সতর্কতা নিতেই হয়েছিল।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিপুল আয়তনের মার্কিন ডকুমেন্টের কিছু নির্বাচিত ডকুমেন্ট নিয়েই এখানে আলোচনা হয়েছে, সবগুলো নিয়ে নয়। এই আলোচনায় মুক্তিযুদ্ধে মার্কিন ভূমিকা বা কূটনীতি নিয়ে যেসব বয়ান চালু ছিল বা আছে তার সাথে আমেরিকান ডকুমেন্ট মিলিয়ে যেন পাঠক পড়তে পারেন। এবং এই দৃষ্টিকোণ থেকে আবারো মুক্তিযুদ্ধে মার্কিন ভূমিকা মূল্যায়ন করতে পারেন সেই উদ্দেশ্য সামনে রেখেই ডকুমেন্টগুলো নির্বাচন করা হয়েছে। এই সিরিজটি মুক্তিযুদ্ধে মার্কিন ভূমিকা সম্পর্কে আমাদের জানা বোঝার জায়গাগুলো আরো পরিচ্ছন্ন করতে পারবে বলে আমাদের আশাবাদ।
বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যাচ্ছে, নিক্সন প্রশাসন এটা জানত। এটা নিয়ে নিক্সন প্রশাসনের কোনো সন্দেহ ছিল না, বহু আগে থেকেই। আর এটা এতই অনিবার্য ছিল যে, সেটাকে ঠেকানোর উদ্যোগ নেয়ার কোনো চেষ্টাও করেনি আমেরিকা। কিন্তু তাদের উদ্বেগের জায়গা ছিল ভিন্ন। সেটা হলো, পাকিস্তানের অংশে থাকা কাশ্মীর। যেন এই সুযোগে, ডিসেম্বরের যুদ্ধের শেষবেলায় ভারতীয় সব সৈন্য পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে গিয়ে পাকিস্তান থেকে কাশ্মীর ছিনিয়ে নিয়ে না যায়। সেটা ঠেকানোই ছিল আমেরিকানদের উদ্বেগের বিষয়।প্রপাগান্ডায় আমরা শুনেছিলাম, বাংলাদেশের স্বাধীন হওয়া ঠেকাতে নাকি আমেরিকা সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল। এইটাও ডাহা মিথ্যা কথা। খোদ নিক্সন প্রশাসন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে নানা ক্ষেত্রে সহায়তা দিয়েছিল।
আমেরিকা ঠিক সেই সময়ে পাকিস্তানের মাধ্যমে চীনের বাজারে বিনিয়োগের লক্ষ্যে কাজ করছিল। পাকিস্তান ছিল এই গড়েওঠা নতুন সম্পর্কের মধ্যস্থতাকারী। তাই আমেরিকার তরফ থেকে পাকিস্তানকে ডিল করার ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ সতর্কতা নিতেই হয়েছিল।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিপুল আয়তনের মার্কিন ডকুমেন্টের কিছু নির্বাচিত ডকুমেন্ট নিয়েই এখানে আলোচনা হয়েছে, সবগুলো নিয়ে নয়। এই আলোচনায় মুক্তিযুদ্ধে মার্কিন ভূমিকা বা কূটনীতি নিয়ে যেসব বয়ান চালু ছিল বা আছে তার সাথে আমেরিকান ডকুমেন্ট মিলিয়ে যেন পাঠক পড়তে পারেন। এবং এই দৃষ্টিকোণ থেকে আবারো মুক্তিযুদ্ধে মার্কিন ভূমিকা মূল্যায়ন করতে পারেন সেই উদ্দেশ্য সামনে রেখেই ডকুমেন্টগুলো নির্বাচন করা হয়েছে। এই সিরিজটি মুক্তিযুদ্ধে মার্কিন ভূমিকা সম্পর্কে আমাদের জানা বোঝার জায়গাগুলো আরো পরিচ্ছন্ন করতে পারবে বলে আমাদের আশাবাদ।