আমলাবেলা
লেখক : হারুন রশীদ
প্রকাশনী : সূচীপত্র
পৃষ্ঠা সংখ্যা :
কভার :
আইএসবিএন :
ভাষা :
দেশ :
- Tk 498.00
-
Regular price
Tk 600.00 -
-17%
- Will not ship until
Couldn't load pickup availability
আমাদের বই ডেলিভারির সময় -
- ঢাকার ভিতরে : ২ থেকে ৩ দিন।
- ঢাকার বাহিরে : ২ থেকে ৫ দিন।
আমাদের ডেলিভারি চার্জ -
- ঢাকার ভিতর: ৫০ টাকা।
- ঢাকার বাহিরে : ৮০ টাকা।
আমরা পাঠাও এর মাধ্যমে সারাদেশে গ্রন্থ পাঠিয়ে থাকি।

আমলাবেলা
‘আমলাবেলা’ কোনো আমলার জীবনকাহিনী নয়। স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে জেল-জুলুম খাটা এক তরুণ তার রাজনৈতিক স্বপ্ন,বৈষম্যহীন সমাজের আকাঙ্ক্ষা,সৃজনশীল কাজের চর্চা আর শ্রমঘন জীবনের স্বাভাবিক ভাবনা ও কর্ম ছেড়ে হয়ে গেল সিভিল সার্ভেন্ট। যার বাংলা অর্থ সুশীল সেবক। পেশাগত জীবনে হতে চেয়েছিল সাংবাদিক। অল্প বয়সে যুক্তও হয়েছিল সাংবাদিকতায়। কিন্তু পরিবার,সুহৃদ,স্বজন,এমনকি সাংবাদিকতায় তার সিনিয়র সহকর্মীদের চাপে স্বপ্নের পেশা ছেড়ে যোগ দিল সিভিল সার্ভিসে। প্রশাসন ক্যাডারে। পঁয়ত্রিশ বছরের আমলা জীবনে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যুক্ত হলো বহুবিধ কাজের সাথে। পেশার ভেতরে ও বাইরে দেখলো অনেক কিছু। ভালো-মন্দ নানা ঘটনা,শতরকম মানুষ। তার দেখা কিছু ঘটনা ও চরিত্র গল্পের মতো করে তুলে ধরা হয়েছে ‘আমলাবেলা’য়। হারুন রশীদ-এর পুরো নাম এস. এম. হারুন-অর-রশীদ। তার জন্ম ২০ জানুয়ারি ১৯৬২,সিরাজগঞ্জে। পিতা- এস. এম. শাহজাহান। মা- বীণা খানম। লেখাপড়া করেছেন সিরাজগঞ্জের বি. এল,সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়,সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। পেশাগত জীবন শুরু হয় সাংবাদিকতা দিয়ে। কাজ করেছেন বাংলাদেশ অবজারভার-এ। যুক্ত ছিলেন চিত্রালী,তারকালোক,কিশোর তারকালোক,স্ক্রীনলাইফসহ বিভিন্ন পত্রিকা ও সাময়িকীর সাথে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তিনি। ১৯৮৬ সালে যোগ দেন সিভিল সার্ভিসে। বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে। অবসর নিয়েছেন সরকারের গ্রেড-১ কর্মকর্তা (সচিব মর্যাদার) হিসেবে। লেখালেখির পাশাপাশি শৈশব থেকে নাটকের সাথে যুক্ত তিনি। বাংলাদেশের বহুল আলোচিত আরণ্যক নাট্যদলের সদস্য তিনি। অভিনেতা,নাট্যকার,নির্দেশক। সিরাজগঞ্জের খ্যাতনামা নাট্য সংগঠন ‘তরুণ সম্প্রদায়’-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। জাতীয় পর্যায়ের আবৃত্তি সংগঠন ‘স্বরশ্রুতি’র প্রতিষ্ঠাতাদেরও একজন তিনি। নাট্যকার হিসেবে পেয়েছেন টেনাশিনাস পদক। পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি পদক। কাহিনী ও সংলাপের জন্য পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। তার লেখা উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম: যুদ্ধে যাবোই,১৪ই আগস্টের বাগানপার্টি,তিনি,শেষ বিকেলের রোদ,শোকের শহরে,ক্যায়ফা হাল (উপন্যাস),ইত্যাদি। গল্পগ্রন্থ: পুতুলের ঘর,প্রান্তজনের প্রভু। হারুন রশীদ এর লেখা উল্লেখযোগ্য মঞ্চ নাটক রাজনেত্র,স্বপ্নপথিক,জট,জলদাস,হেফাজত,পঞ্চনারী আখ্যান,নিশিকুটুম্ব,সখিপুরপালা,তথৈবচ,ইত্যাদি। বেশকিছু পথনাটক লিখেছেন হারুন রশীদ। লিখেছেন অসংখ্য টেলিভিশন নাটক।