Cart
0
Sold Out
ম্যাসেজ ফর ইয়ংগার
লেখক : সুভাষচন্দ্র বসু
প্রকাশনী : শোভা প্রকাশ
পৃষ্ঠা সংখ্যা : 128
কভার : হার্ডকভার
আইএসবিএন :
ভাষা :
দেশ :
- Regular price Tk 0.00
-
-%
- Will be in stock after
Couldn't load pickup availability
আপনারা সাধারণত কত দিনের মধ্যে বই পাঠিয়ে থাকেন?
আমাদের বই ডেলিভারির সময় -
- ঢাকার ভিতরে : ২ থেকে ৩ দিন।
- ঢাকার বাহিরে : ২ থেকে ৫ দিন।
আপনাদের ডেলিভারি চার্জ কত টাকা?
আমাদের ডেলিভারি চার্জ -
- ঢাকার ভিতর: ৫০ টাকা।
- ঢাকার বাহিরে : ৮০ টাকা।
আপনারা কোন কুরিয়ারে বই পাঠিয়ে থাকেন?
আমরা পাঠাও এর মাধ্যমে সারাদেশে গ্রন্থ পাঠিয়ে থাকি।
👀 বর্তমানে
জন কাস্টমার এই বইটি দেখছেন

ম্যাসেজ ফর ইয়ংগার
Tk 0.00
আমরা এ পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছি একটা উদ্দেশ্য সাধনের নিমিত্তে-একটা বাণী প্রচারের জন্য। আলোকে জগৎ উদ্ভাসিত করবার জন্য যদি গগনে সূর্য উদিত হয়, গন্ধ বিতরণের উদ্দেশ্যে বনমধ্যে কুসুমরাজি যদি বিকশিত হয়, অমৃতময় বারিদান করতে তটিনী যদি সাগরাভিমুখে প্রবাহিত হয়-যৌবনের পূর্ণ আনন্দ ও ভরা প্রাণ নিয়ে আমরাও মর্ত্যলোকে নেমেছি একটা সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য। যে অজ্ঞাত গূঢ় উদ্দেশ্য আমাদের ব্যর্থ জীবনকে সার্থক করে তোলে তা আবিষ্কার করতে হবে-ধ্যানের দ্বারা, কর্মজীবনের অভিজ্ঞতার দ্বারা।
যৌবনের পূর্ণ জোয়ারে আমরা ভেসে এসেছি সকলকে আনন্দের আস্বাদ দেবার জন্য, কারণ আমরা আনন্দের স্বরূপ। আনন্দের মূর্ত বিগ্রহরূপে আমরা মর্ত্যে বিচরণ করব। নিজের আনন্দে আমরা হাসব-সঙ্গে সঙ্গে জগৎকেও মাতাব। আমরা যেদিকে ফিরব, নিরানন্দের অন্ধকার লজ্জায় পালিয়ে যাবে, আমাদের প্রাণময় স্পর্শের প্রভাবে রোগ, শোক, তাপ দূর হবে।
এই দুঃখ-সঙ্কুল, বেদনাপূর্ণ নরলোকে আমরা আনন্দ-সাগরের বাণ ডেকে আনব।
আশা, উৎসাহ, ত্যাগ ও বীর্য নিয়ে আমরা এসেছি সৃষ্টি করতে, কারণ-সৃষ্টির মধ্যেই আনন্দ। তনু, মন-প্রাণ, বুদ্ধি চালিয়ে দিয়ে আমরা সৃষ্টি করব। নিজের মধ্যে যা কিছু সত্য, যা কিছু সুন্দর, যা কিছু শিব আছে-তা আমরা সৃষ্ট পদার্থের মধ্যে ফুটিয়ে তুলব। আত্মদানের মধ্যে যে আনন্দ সে আনন্দে আমরা বিভোর হব, সেই আনন্দের আস্বাদ পেয়ে পরিবর্তন হবে।
কিন্তু আমাদের দেওয়া শেষ নেই, কর্মেরও শেষ নেই কারণ-
“যত দেব প্রাণ বহে যাবে প্রাণ
ফুরাবে না তার প্রাণ;
এত কথা আছে এত প্রাণ আছে
এত প্রাণ আছে মোর
এত সুখ আছে, এত সাধ আছে
প্রাণ হয়ে আছে ভোর।”
যৌবনের পূর্ণ জোয়ারে আমরা ভেসে এসেছি সকলকে আনন্দের আস্বাদ দেবার জন্য, কারণ আমরা আনন্দের স্বরূপ। আনন্দের মূর্ত বিগ্রহরূপে আমরা মর্ত্যে বিচরণ করব। নিজের আনন্দে আমরা হাসব-সঙ্গে সঙ্গে জগৎকেও মাতাব। আমরা যেদিকে ফিরব, নিরানন্দের অন্ধকার লজ্জায় পালিয়ে যাবে, আমাদের প্রাণময় স্পর্শের প্রভাবে রোগ, শোক, তাপ দূর হবে।
এই দুঃখ-সঙ্কুল, বেদনাপূর্ণ নরলোকে আমরা আনন্দ-সাগরের বাণ ডেকে আনব।
আশা, উৎসাহ, ত্যাগ ও বীর্য নিয়ে আমরা এসেছি সৃষ্টি করতে, কারণ-সৃষ্টির মধ্যেই আনন্দ। তনু, মন-প্রাণ, বুদ্ধি চালিয়ে দিয়ে আমরা সৃষ্টি করব। নিজের মধ্যে যা কিছু সত্য, যা কিছু সুন্দর, যা কিছু শিব আছে-তা আমরা সৃষ্ট পদার্থের মধ্যে ফুটিয়ে তুলব। আত্মদানের মধ্যে যে আনন্দ সে আনন্দে আমরা বিভোর হব, সেই আনন্দের আস্বাদ পেয়ে পরিবর্তন হবে।
কিন্তু আমাদের দেওয়া শেষ নেই, কর্মেরও শেষ নেই কারণ-
“যত দেব প্রাণ বহে যাবে প্রাণ
ফুরাবে না তার প্রাণ;
এত কথা আছে এত প্রাণ আছে
এত প্রাণ আছে মোর
এত সুখ আছে, এত সাধ আছে
প্রাণ হয়ে আছে ভোর।”